

মাসুম বিল্লাহ “চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি” : কখনো তিনি ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধি, কখনো ব্যবসায়ী আবার পরিচয় দেন সাংবাদিক। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার আঃ হালিমের বখাটে সন্তান মাসুরা টুনী। পথভ্রষ্ট, পরিবার থেকে বিতাড়িত, সমাজের দুষ্টু মেয়ে মাসুরা টুনীর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪/৫ বছর আগেই পরিবার থেকে আলাদা বসবাস করেন। নেশা আর বখাটে জীবন-যাপনের কারণে পরিবার তাকে বিচ্ছিন্ন করেছেন।
বর্তমানে যশোরের একটি ঔষধ কোম্পানীর সেলস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ তিনি। কিন্তু পরিচয় দেন তিনি সাংবাদিকতা করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতার ইশতেহারের সম্পাদক এম.এ হানিফ জানান, গত জানুয়ারী মাসুরা টুনী আমার স্বাক্ষর জাল করে তিনি আইডি কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং নকল আইডি কার্ড বানিয়ে কিছু মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। সে ব্যাপারে থানায় জিডিও করা হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাথে যোগাযোগ করা হলে মাসুরা টুনী তাদের সদস্য নন বলে জানান। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে মাসুরা টুনী বিভিন্ন সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন। গত জুলাই মাসে দামুরহুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুরে মেহেরুন শিশু পার্কে রিপোর্ট করার কথা বলে চাঁদা দাবী করেন। পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি রবিউল হোসেন সুকলাল জানান, মাসুরা টুনী তাদের কাজে টাকা অথবা নতুন একটি মোবাইল দাবী করেছেন। মোবাইল গিফট পেলে ফেসবুকে আর তাদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাবে না। সুকলাল আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সাংবাদিক আবুল হাসান জানান, পত্রিকা নেই পেপার নেই অথচ সাংবাদিক ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন এই মাসুরা টুনী। চলনে-বলনে ছেলে নাকি মেয়ে বোঝার কোন উপায় নেই। তিনি আরো বলেন, এখন সাংবাদিক পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগে। সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে মাসুরা টুনীর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
চাঁদাবাজ, প্রতারক, ভন্ড এসব নামধারী হলুদ সাংবাদিকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান চুয়াডাঙ্গাবাসী।
এ জাতীয় আরও খবর..
Leave a Reply