প্রতারণা শব্দটির প্রতিটি চরিত্রই বিদ্যমান রয়েছে মাস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহাগের মধ্যে। প্রতারণা করতে এমন কোনো শাখা বা সেক্টর বাকি রাখেনি সোহাগ। তার বিচরণ প্রতারণার প্রতিটি স্তরেই।
ভুত্তভোগী বাংলাবাজারের কাগজ ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান বলেন,সোহাগ একজন ‘মহাপ্রতারক’।
সব সেক্টরেই তার প্রতারণা রয়েছে।
এছাড়াও সোহাগ ঠগবাজি ও মিথ্যাচারেও অন্যতম। দেশে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে কোভিট -১৯ এর নকল কিট অামদানী করতে গিয়ে ধরা পড়েন গোয়েন্দা সংস্থা হাতে।
তার এমন প্রতারণার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
মাস্টার গ্রুপে কাজ করতেন এমন একজন বলেন, সাদেকুল ইসলাম সোহাগ নিম্নমানের প্রতারক। অফিস পিয়নের বেতনও তিনি ঠিকমতো দেন না। তিনি বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন ও ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন মাঝে মাঝেই । তার বাড়ি নওগাঁ হলেও তিনি পরিচয় দেন রাজশাহীর।
জানা গেছে, মাস্টার গ্রুপের সোহাগের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। তিনি ১৯৯৮ সালে এসএসসি পাস করে ঢাকায় চলে অাসেন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার এক দাদার বাসায় উঠেন। এরপর আর লেখাপড়া করা হয়নী মহাপ্রতারক সোহাগের।
সোহাগের বাবার নাম অাজিজুল ইসলাম তার মা সেলিনা অাত্তার। সোহাগের ঠগবাজি, প্রতারণা, মিথ্যাচার এবং নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ তার দুইবোন। তার বড় বোন এবং বড় দুলাভাই ডাচ বাংলা ব্যাংকে চাকুরির সুবাদে থাকেন জয়পুরহাট। অার ছোট বোন এর জামাতা কাজী এন্টারপ্রাইজে চাকুরির সুবাদে ঢাকা থাকেন। পরিবারের সম্পদও অাত্নসাত করেছেন সোহাগ। ছোটবেলা থেকেই ধীরে ধীরে চাপাবাজি আর প্রতারণায় লিপ্ত হন সোহাগ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অগ্রনী ব্যাংক মতিঝিল শাখা হতে মহাব্যাবস্হাপক এর মাধ্যমে ভুয়া দলিল দিয়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন পলাতক এই সাদেকুল ইসলাম মৃধা সোহাগ। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ও সাইন ব্যাবহার করে থাকেন এই প্রতারক। গত সেপ্টম্বর থেকে শুরু করেছেন মাস্টার কুরিয়ার সার্ভিস এর বিজনেস। সারাদেশব্যপী এজেন্ট নিয়োগের নামে চলছে প্রতারনা। মাস্টার গ্রুপের প্রতারণার স্বীকার নোয়াখালীর নাসিম ৩০ জানুয়ারি মিরপুর পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পল্লবী থানার এসঅাই এমদাদুল হক বলেন মাস্টার গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।সিলেটের অাব্দুর রউফ জানান তিনি এজেন্সির জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এখন কেউ ফোন ধরছে না। সারাদেশে এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন শতশত মানুষ।
Leave a Reply