রাব্বি মিয়া ( চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি):দেশের অবহেলিত জনপদ চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ মানুষ ভুয়া সাংবাদিকদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পরেছে।ব্যাবসা বানিজ্য করতে পারছে না চুয়াডাঙ্গার স্হানিয় ব্যাবসায়ীরা। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণত দোকানীও বাদ পড়ছে না এই ভুয়া সাংবাদিকদের হাত থেকে। দামুরহুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির জানান গত কয়েকদিন অাগে দৈনিক সকালের সময়ের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি অামার কাছে এসে তাদের পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কিছু সহায়তা করতে হবে বলে জানান। অামি অপারগতা প্রকাশ করলে অামার বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকি প্রদান করেন।এরপর গত ২৪ জুলাই অাবারও সাংবাদিক শামিম রেজা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে টাকা দাবি করেন। বিষয়টি দামুরহুদা থানার ওসিকে জানালে তিনি চাদাবাজী সাংবাদিককে অাটক করতে বলেন। অথচ ভুয়া এবং বিভ্রান্ত তথ্য দিয়ে গত ২৮ জুলাই মানববন্ধন করে জীবননগর সাংবাদিক সমিতি। এরপ্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দামুরহুদা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। উপজেলা কৃষক সংগঠনের সভাপতি শামসুল ইসলাম বলেন, ভুয়া সাংবাদিকদের অত্যাচারে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসী। অনলাইন পত্রিকায় ভরে গেছে সারাদেশ একটা অাইডি কার্ড বানিয়ে ফেলেই শুরু হয়ে যায় চাঁদাবাজি। গত ৯ মে চুয়াডাঙ্গায় চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কথিত অাকাশ খবর পত্রিকার হলুদ সাংবাদিক তানজির অাহমেদ রনি। গত ১৭ ডিসেম্বর চায়ের দোকানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভুয়া সাংবাদিক জাফরপুরের শামসুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম। এখানেই শেষ নয় ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম দীর্ঘ দিন থেকে চলা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজির এই কৌশলে যুক্ত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার তেঘরী গ্রামের অাব্দুল হালিমের বখাটে মেয়ে মাসুরা টুনি। পরিবার থেকে বিতাড়িত স্বল্প লেখাপড়া জানা টুনি অনলাইন পত্রিকার পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। টুনি কখনো পরিচয় দেন চুয়াডাঙ্গার অাবার কখনো পরিচয় দেন যশোরের। অনুসন্ধানে জানাযায়, দৈনিক জনাতার ইশতেহার পত্রিকায় কাজ করতে গিয়ে সম্পাদকের স্বাক্ষর নকল করে ভুয়া অাইডি কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক নিয়োগ করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধরা পরেন এই মাসুরা টুনি।প্রতারনার সকল সাখানেই রয়েছে মাসুরা টুনির বিচরন।২৯ বছর বয়সী টুরীর বিয়ের সংখা ১১ টি। কথার যাদুতে বশ করে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলেন টুনি। এরপর বিয়ে করে মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের সহকারী জানান প্রতারণা করে একাধিকবার জেল খেটেছেন মাসুরা টুনি। তিনি অারো বলেন ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টুনি কোর্টে দাদালীর কাজ করতেন। দর্শনার মাসুদ জানান,মাসুরা টুনির নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা নেই কখনো যশোর কখনো ঠাকুরগাঁও অাবার কখনো চুয়াডাঙ্গা থাকেন।পারিবারিকভাবে টুনি বিতাড়িত। দামুরহুদা উপজেলার ভুক্তভোগী বেস্ট ফুড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী সাকিল জানান গত জুন মাসে জামাল এবং টুনি নামে সাংবাদিক এসে অামার কারখানার লাইসেন্স অাছে কি না জানতে চায়।অামি সরকারি সকল অনুমোদন নিয়েই ব্যাবসা করছি বলে জানাই। তারা সাংবাদিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে বলেন।এবং প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা সন্মানি দিতে বলেন।
জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদ অালম বলেন সাংবাদিক পরিচয় দিতে এখন লজ্জা হয়। লেখাপড়া নেই ট্রেনিং নেই, একটা কার্ড বানিয়ে ফেলেই হয়ে যান বিরাট সাংবাদিক। নাগরিক সমাজের সভাপতি শামসুল ইসলাম বলেন এরা টার্গেট করে সন্মানি লোকের মানসন্মান নিয়ে অাঘাত করে বিনিময়ে মোটা অংকের চাদাদাবী করেন। এদের চাদাবাজীর কারনে চুয়াডাঙ্গাতে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। হলুদ সাংবাদিকদের দৌড়াত্ব থেকে রেখাই পেতে চান চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ।II
Leave a Reply